বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪

boshikpur union history


আমাদের নন্দীগ্রাম Amadar Lakshmipur
বশিকপুর ইউনিয়নের
ইতিহাস
ইতিহাসের পাতা থেকে
বশিকপুর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর জেলার সদর
উপজেলাধীন অর্থাৎ লক্ষ্মীপুরের
উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর সদর
উপজেলার এই উত্তরাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের
চারণ ভূমি হিসেবে ও বেশ
পরিচিতি রয়েছে। এই
ইউিনয়নটি একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন
যার আয়তন ১৪ বর্গ কিলোমিটার এবং এই
ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৪৭০০০
হাজার, এই ইউনিয়নে রয়েছে ১০৮
কি.মি. রাস্তা যার অধিকাংশই পাকা।
বশিকপুর ইউনিয়নে ১৯ টি গ্রাম
এবং এটি ৯ ওয়ার্ডে বিভক্ত।বাড়ীর
সংথ্যা ৫৭১ ও খানার সংখ্যা ৬৮৮৬।
ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রামের মধ্যে বশিকপুর
গ্রামটি অন্য সব গ্রামের চাইতে বড়
বিধায় এর নামকরন করা হয়েছে বশিকপুর
ইউনিয়ন।ধারনা করা হচেছ ১৪২০
সালে এই চরন ভূমিটির জন্ম এবং মানুষ
চলাচল ও বসবাসের
উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠা।
এই ইউনিয়নে হিন্দু,মুসলিম সব সম্প্রদায়ের
মানুষের বসবাস রয়েছে।বশিকপুর
ইউনিয়েনে রয়েছে ৩টি বাজার। যার
মধ্যে পোদ্দার বাজার লক্ষীপুর
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার
এছাড়া ও রয়েছে নাগের হাট ও
পাটোয়ারী বাজার ।
এই ইউনিয়নের #নন্দীগ্রাম
নিবাসী তৎকালীন হিন্দু জমিদার আর
কে নাগ (যার বাড়ীতে ১৯৪৬
সালে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার পরই
অহিংসা পরম ধর্মের
বাণী নিয়ে প্রচারে এসে মহনলাল
করমচাঁদ মহাত্নাগান্ধী কিছুক্ষণ সময়
কাটিয়ে চাটখিলে রাত্রি যাপন
করেছিলেন
যেটি বর্তমানে মহাত্না গান্ধী আশ্রম
নামে পরিচিত) প্রজাকুলের
বেচা কেনার সুবিধার্থে নিজস্ব ভূমির
উপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাগের
হাট যা বশিকপুরের
ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার হিসেবে আজ
ও পরিচিত। জমিদারের পাইক
পেয়াদারের অত্যাচার এমন
পর্যায়ে পৌছেছিল যা বশিকপুরের
বিরাহিমপুর
নিবাসী প্রভাবশালী চন্দ্রনাথ
পোদ্দাররের নৌকা নাগের হাটের
নৌ-ঘাটে ভিড়ানোকে কেন্দ্র
করে তাকে চরমভাবে অপমানিত
হতে হয়েছিল। অপরদিকে নাগের হাট
মুসলমানদের গরু জবাই করতে নিষেধ
করার
কারনে প্রতিবাদে মুসলমানরা পাকিস্তানের
তৎকালীন পরিষদ সদস্য গোলাম ছারওয়ার
মিয়ার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে পড়ে।
এক পর্যায়ে চন্দ্র নাথ পোদ্দারের
অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায় এবং গোলাম
ছারওয়ার মিয়ার নেতৃত্বাধীন মুসলিম
সম্প্রদায় নাগের হাট বর্জন করে এবং নতুন
হাট বসানোর পরিকল্পনা করে। চন্দ্রনাথ
পোদ্দার জেলা কালেক্টর
বরাবরে ০.০৯একর ভূমি সমর্পণ করে নতুন
হাট বসায় জায়গা দান করায় তার
নামানুসারে তার নাম করন বশিকপুর
পোদ্দার হাট। পরবর্তীকালে কিছু
সংখ্যক মুসলমান হাটের নামের
আগে ‌‍পোদ্দার থাকায় আপত্তি উপস্থাপন
করে পোদ্দার বাজারের পূর্ন নামকরন
করেন ইসলাম গঞ্জ বাজার কিন্তু বাজার
টি আাজ ও বশিকপুর পোদ্দার বাজার
নামেই দেশ বিদেশে পরিচিতি।
বশিকপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহন
করেছে অনেক গুনী মানুষ। যারা আজ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্মানের
সাথে সরকারী বেসরকারী উচ্চ
পদে রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন
তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ডা:মুজাফফর আহম্মদ চৌধুরী সবকিছু
মিলেয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন একটি মডেল
এবং ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন।

Rubel Hossain Milon

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

লক্ষ্মীপুরের সম্ভাবনা ও প্রত্যাশা

অধ্যাপক আজিজুর রহমান আযমঃ প্রায় ১৬
লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত
বর্তমানে ৫টি উপজেলা নিয়ে মেঘনার
কোল ঘেষে লক্ষ্মীপুর জেলার
অবস্থান। বৃহত্তর
নোয়াখালী জেলা থেকে তদানিন্তন
পল্লীবন্ধু সাবেক প্রেসিডেন্ট
হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ
৪টি থানা নিয়ে ১৯৮৪ সালে লক্ষ্মীপুর
জেলা গঠন করেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও রামগঞ্জ,
রায়পুর ও রামগতি ব্যতিত লক্ষ্মীপুর সদর
আসন থেকে বিভিন্ন সরকারের
আমলে কোন মন্ত্রী আমরা লক্ষ্মীপুর
বাসী উপহার পাইনি। এর
ফলশ্রুতিতে লক্ষ্মীপুর সদর
উপজেলা সরকারের সব রকম উন্নয়ন
প্রচেষ্টা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নের
অনেক সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রিত্ব
না পাওয়ার কারনে যোগাযোগ
অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
পয়নিষ্কাশন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিল্প
কারখানা, নদী ভাঙন রোধ করার জন্য
কোন রকম সূদুর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহন
করা হয়নি। তাই
আমরা লক্ষ্মীপুরবাসী জোর
দাবী জানাচ্ছি বর্তমান লক্ষ্মীপুর -৩
আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বীর
মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও দুই
দুই বারের এমপি এ কে এম শাহজাহান
কামালকে বর্তমান মহাজোট সরকারের
পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে অচিরেই
দেখতে চায়।
লক্ষ্মীপুর জেলার মাটি খুবই উর্বর।
এখানকার জনগণ ও খুবই পরিশ্রমী।
দেশে উৎপাদিত সয়াাবিনের প্রায় ৭০
ভাগ চাষ হয় এ জেলায়। এ অঞ্চলের
কৃষকেরা এই টিকে সোনার ফসল
বলে থাকেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত
সয়াবিন তেল ও পোল্ট্রি খাদ্য
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে সয়াবিন
কেনার জন্য ছুটে আসেন। লক্ষ্মীপুর
জেলায় প্রতিবছর রেকর্ড পরিমাণ
সয়াবিন উৎপন্ন হলেও গ্যাস ও বিদ্যুৎ
সংকটের কারণে সয়াবিন ভিত্তিক কোন
শিল্প গড়ে উঠেনি।
এছাড়াও প্রধান অর্থকরী ফসল হলো ধান,
নারিকেল, ডাব, সুপারি, বাদাম, মরিচ,
বিভিন্ন জাতের ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, পান
ইত্যাদি। লক্ষ্মীপুরের রুপালি ইলিশ খুবই
সুস্বাদু যা লক্ষ্মীপুরের
চাহিদা মিটিয়ে সারা বাংলাদেশেও
এর যোগান দিয়ে থাকে। লক্ষ্মীপুরের
ইলিশ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামদ্রীক মৎস্য
সম্পদ দেশের চাহিদা পূরণ
করে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
লক্ষীপুর খুবই ঘনবসতি পূর্ন এলাকা,
এখানকার শিক্ষার হার
মোটামুটি সন্তোষজনক। বাংলাদেশের
রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে বিভিন্ন
সেক্টরে লক্ষ্মীপুরের অনেক
মেধাবী লোকজন তাদের যে অবদান
রেখেছেন বা রেখে চলছেন
তা উল্লেখ না করলেই নয়।
লক্ষ্মীপুর জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব:
সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ উল্যাহ,
এডভোকেট আবদুল হাকিম এম,এল,এ,
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা পৌর
চেয়ারম্যান নছির আহমদ ভূঁইয়া, সাবেক
প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া,
স্বাধীনতার প্রথম
পতাকা উত্তোলনকারী জাসদের
প্রতিষ্ঠাতা মন্ত্রী আ.স.ম আব্দুর রব,
সার্কের প্রথম মহাসচিব আবুল এহসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর
ও আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন
বিজ্ঞানী ডঃ আবদুল মতিন চৌধুরী,
সাবেক সংসদ সদস্য ও শিক্ষাবিদ
রাজিয়া মতিন চৌধুরী,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক
উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীসভার
শিক্ষামন্ত্রী ডঃ মোজাফ্ফর আহম্মদ
চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য ও খ্যতনামা ইতিহাসবিদ
ডঃ মফিজ উল্যাহ কবির, জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ- উপাচার্য
প্রফেসর ডঃ তোফায়েল আহম্মদ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক
ট্রেজারার প্রফেসর ডঃ আবুল কালাম
আজাদ, সাবেক ডি,পি,আই ডঃ মমতাজ
উদ্দিন চৌধুরী, উপমহাদেশের একজন
স্বনামধন্য গণিতবিদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর
শহীদ হাবীবুর রহমান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বাণিজ্য
অনুষদের ডীন প্রফেসর ডঃ হাবীব
উল্যাহ, এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী ও
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডঃ ওয়াহিদুল হক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক
সমিতির সেক্রেটারী প্রফেসর
ডঃ মাকসুদ কামাল, ডঃ মুসলেহ উদ্দিন,
ডঃ আহমেদ হোসেন, প্রখ্যাত
সাংবাদিক সানা উল্যাহ নূরী, মুসলিম
লীগের প্রতিষ্ঠাতা জমির আলী,
ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা কমরেড তোহা,
রাজনীতিবিদ খালেদ মোহাম্মদ আলী,
সচিব আবদুর রব চৌধুরী, সচিব ইসমাইল
জবিউল্যাহ, সচিব নাজমুল আলম সিদ্দিকী,
অতিরিক্ত সচিব রেজা-ই রাব্বী,
বিখ্যাত সার্জন আতা-ই রাব্বী,
অতিরিক্ত সচিব কায়কোবাদ, বিখ্যাত
নিওরো সার্জন প্রফেসর আবুল খায়ের,
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন,
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য
উপদেষ্টা মেজর জেনারেল
অবঃ মতিউর রহমান, মেজর জেনারেল
অবসর প্রাপ্ত শাহ একরামুল হক, মেজর
জেনারেল আবদুল ওয়াদুদ, সাবেক বি,
জি, বির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল
আনোয়ার হোসেন, দুদকের বর্তমান
চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান, পরিবেশ
(ইউ.এস.এ) প্রেসিডেন্ট
প্রকৌশলী নুরুলহক, সাবেক সচিব নাজমুল
আলম সিদ্দিকী, প্রফেসর ডঃ নাজমুল
করিম চৌধুরী, প্রফেসর ডঃ সাইফুল্লাহ
ভূঁইয়া, প্রফেসর ডঃ আমির হোসেন কিরণ,
রাজনীতিবিদ আবুল বারাকাত দুলাল,
রাজনীতিবিদ সৈয়দ বেলায়েত
হোসেন, মাওঃ লুৎফুর রহমান,
আল্লামা হাফ্ফেজী হুজুর,
মাওঃ সাইয়েদ আনোয়ার হোসেন
তাহেরী আল মাদানী, হযরত মাওঃ হারুন
আল মাদানী, সাবেক সংসদ সদস্য
মাওলানা সফিক উল্যাহ,
মাওলানা হাফেজ মনির আহম্মদ,
আন্তজার্তিক খ্যাতি সম্পূর্ন ওয়াজিন
হযরত মাওঃ তারেক মনোয়ার,
এমবাসেডর রাশেদ চৌধুরী,
ঢাকা কমার্স কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুকী,
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র
মজুমদার, কথা সাহিত্যিক ও উপন্যাসিক
সেলিনা হোসেন, বিকল্পধারার
মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেজর
অবঃ আবদুল মান্নান, সাবেক অধ্যক্ষ
তোফায়েল আহমদ, ব্যবসায়ী বদরুল আলম,
সচিব আবদুর রব চৌধুরী, হামর্দদ এর
এমডি ডঃ ইউসুফ হারুণ ভূঁইয়া, বিশিষ্ট
শিল্পপতি মরহুম ইব্রাহীম মিয়া, বিশিষ্ট
ব্যবসায়ী শামসুল হুদা এফ,সি,এ,
এন,সি,সি ব্যাংকের বর্তমান এম ডি নুরুল
আমিন, ব্যবসায়ী এম এ হাসেম, বাফুফের
সাবেক সেক্রেটারী ও সংসদ সদস্য
হারুন-অর-রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
পত্রিকার ও লক্ষ্মীপুর বার্তার সম্পাদক এম
এ হেলাল, সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ
উদ্দিন চৌধুরী এ্যনির মত অসংখ্য
ব্যক্তিত্ব সারা বাংলাদেশের
উন্নয়নে অবদান রেখেছেন
বা রেখে চলেছেন।
এবং এরা সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন
ক্ষেত্রে তাদের মেধার স্বাক্ষর
রেখেছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে:
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে গোল্ড মেডেল পাওয়া মরহুম
অধ্যক্ষ আবদুল জব্বার, লক্ষ্মীপুর
সরকারি কলেজের সাবেক প্রথম অধ্যক্ষ
মরহুম সিরাজুল হক, লক্ষ্মীপুর আর্দশ সামাদ
স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলম,
লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষিকা দিদি মণি ও পরে প্রধান
শিক্ষক হন মোতাহের হোসেন,
লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মনছুরুল হকের মত কিছু
নিবেদিত ব্যক্তিত্ব লক্ষ্মীপুরের মত
পশ্চাৎপদ বা শিক্ষাক্ষেত্রে অবহেলিত
এলাকাকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন
করেছেন। রামেন্দ্র মজুমদার, অধ্যক্ষ
খলিলুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ
সদস্য চৌধুরী খুরশীদ আলমদের
কারণে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,
ক্রীড়াঙ্গন লক্ষ্মীপুর এক সময় মুখর ছিল
এবং তাদের অপরিসীম অবদানে এই
অঙ্গনগুলো ক্রম বিকাশে একটি পথ
খুঁজে পেয়েছিল।
সাংবাদিকতায়:
লক্ষ্মীপুর সাংবাদিকতার
ক্ষেত্রে যারা বিশেষভাবে অবদান
রেখেছেন তারা হলেন লক্ষ্মীপুর
প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব
গোলাম রহমান,
প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী মোঃ আবদুল
মালেক, সাংবাদিক আবদুস সহিদ, মরহুম
অধ্যাপক আবদুল হাই, মরহুম সাংবাদিক
জাকির হোসেন, মরহুম সাংবাদিক এম এ
মঈদ, দৈনিক ভোরের মালঞ্চ ও এলান
পত্রিকার সম্পাদক আবদুল মান্নান,
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক
মাইনউদ্দিন পাঠান, কবি, শিক্ষাবিদ ও
সাংবাদিক গাজী গিয়াস উদ্দিন,
দৈনিক মেঘনারপাড় সম্পাদক আবুল
কালাম আজাদ, সাংবাদিক সেলিম
উদ্দিন নিজামী,অধ্যাপক আহম মোস্তাক,
আজিজুল হক, প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা।
শিল্পস্থাপনের অভাব:
লক্ষ্মীপুরের ঘনবসতি লোকজন ও
উন্নয়নের অনেক
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বে ও এই
খানে কোন সরকারী ও
বেসরকারী উদ্যেগে কোন শিল্প
কারখানা গড়ে না উঠায় এখানকার
শিক্ষিত এবং অর্ধ শিক্ষিত লোকজন
বেকার অবয় আছে। অথচ সরকার এই
জেলার
দিকে সুদৃষ্টি দিলে একানে অমৎড়
নধংবফ শিল্প
কারখানা গড়ে উঠতে পারে। যেমন
বৎসরে প্রায় হাজার হাজার
কোটি টাকার সয়াবিন এই জেলা উৎপন্ন
হলেও এখানে সয়াবিন প্রক্রিয়া জাত
করনের কোন কারখানা এখনও পন হয়নি।
শত শত কোটি টাকার নারিকেলের
ছোবড়া প্রক্রিয়াজাত করণের কোন
কারখানা আজও গড়ে উঠেনি।
এখানে সার কারখানা, ঔষধ কারখানা,
গার্মেন্টস, বড় বড় পোল্ট্রি খামার সহ
অনেক ছোট বড় শিল্প কারখানা ¯’াপন
করা যায়। বেসরকারী উদ্যেগেও
এগুলো স্থাপন করা যেতে পারে।
পর্যটন ও নতুন পরিকল্পনা :
লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীরর হাট
বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চল
লক্ষ্মীপুরের সাথে যোগাযোগের
প্রধান নদী বন্দর হতে পারে। মজু
চৌধুরীরর হাট, কমলনগরের মতিরহাট,
রামগতির বয়ার চর, হায়দারগঞ্জ, দালাল
বাজারকে সরকার পর্যটন
এলাকা ঘোষনা দিয়ে এখানে মাস্টার
প্লানের মাধ্যমে অনেক ছোট বড় শিল্প
কারখানা গড়ে তুলতে পারে তার জন্য
মজু চৌধুরীর হাট কে অবকাঠামোগত
উন্নয়ন করে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সরবারহ
করে চাঁদপুরের মত বাংলাদেশের আর
একটি প্রধান নদী বন্দর বানাতে পারে।
শুধু মাত্র সরকাররে পরিকল্পনার
অভাবে এই জিনিস গুলো বাস্তবায়ন
হচ্ছে না। এক সময় লক্ষ্মীপুরের রহমত খাল
দিয়ে ব্যবসায়ীরা নদীপথে পণ্য
বাংলাদেশের এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে আনায়ন করতে পারতো এর
ফলে জনসাধারন সুলভ মূল্যে যে কোন
প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে পারতো।
কিন্ত মজু চৌধুরীর হাটে ওয়াপদা সুইস
গেইট দেওয়ার কারনে রহমত খালী আজ
প্রায় মরতে বসেছে। অবিলম্বে এই সুইস
গেইট খুলে ও রহমত খালী কে মজু
চৌধুরীর হাট থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত-
ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করা হোক।
এবং লক্ষ্মীপুর জেলা জনগনের দীর্ঘ
দিনের দাবী এই জেলায়
অবিলম্বে রেল লাইন স্থাপন করা হোক।
চৌমুহনী থেকে মজু চৌধুরীর হাট,
সোনাপুর
থেকে রামগতি এবং চৌমুহনী থেকে রায়পুর
রেল লাইন স্থাপন করা হলে শুধু
লক্ষ্মীপুরের লোকজন ই নয়
বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের লোক
জন যেমন ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী,
বাগের হাট, বরগুনা, ইত্যাদি জেলার
লোকজনও এর সুফল পাবে। এর
ফলশ্রতিতে সড়ক পথে দুর্ঘটনার হার ও
কমবে। ঢাকা রায়পুর, চট্রগ্রাম রায়পুর
মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ও কমবে।
নদী পথের মত জনগন অতি সুলভ
মূল্যে রেল পথে প্রয়োজনীয় মালামাল
এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে সহজে আনা নেওয়া করতে পারবে।
পরিকল্পনা:
প্রায় ১৬ লক্ষ অধ্যষিত লক্ষ্মীপুর জেলার
জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ,
একটি কৃষি কলেজ,
একটি নর্সিং ইনিসটিটিউট, একটি যুব
উন্নয়ন ট্রেনিং ইনিসটিটিউট স্থাপন
করা খুবই প্রয়োজন মনে করে লক্ষ্মীপুর
বাসী। এই প্রতিষ্ঠান
গুলো এখানে স্থাপন
করলে রাজধানীতে শিক্ষার্থীগন আর
ছুটাছুটি করবেনা। বাড়ীর কাছের
প্রতিষ্ঠানে পড়েই উচ্চ শিক্ষা লাভ
করতে পারবেন ও দেশ আরও দক্ষ
জনশক্তি পাবে। বাংলাদেশ ডিজিটাল
বাংলাদেশে রুপান্তর
করতে হলে এবং ভিশন-২০২১
প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্ব প্রথম
দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।
এবং বাংলাদেশের সব অঞ্চলে সুষম
উন্নয়ন করতে হবে। কোন
জেলাকে অন্ধকারে রেখে মহাজোট
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ও
ভিশন-২০২১ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়
বলে লক্ষ্মীপুরবাসী মনে করে।
এবং বিরোধীদলকেও সংসদ
অধিবেশনে নিয়মিত যোগ
দিয়ে লক্ষ্মীপুরের সম্বভনা ও
সমস্যা গুলো যেমন রামগতি ও কমলনগর
যেভাবে নদী ভাঙ্গন হইতেছে তার
প্রতি দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য সংসদের
ভিতরে ও বাহিরে তীব্র আন্দোলন
গড়ে তুলতে হবে। তাই
অনতিবিলম্ভে লক্ষ্মীপুর জেলার সুশীল
সমাজের লোকজন, রাজনিতিবীদ,
শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, পরিকল্পনাবিদ,
আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক
যে যেখানে আছেন দলমত
নির্বিশেষে লক্ষ্মীপুরের সার্বিক
উন্নয়নের জন্য দুর্বার আন্দোলন
গড়ে তুলুন। এই আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরের
সদর আসন সহ অন্যান্য আসনের এমপি মহদয়
সহ লক্ষ্মীপুরের বর্তমান সফল মেয়র বীর
মুক্তিযোদ্ধা জনাব আবু তাহের ও শরিক
হবেন বলে আমরা দৃড় ভাবে বিশ্বাস
করি।
লেখক: সভাপতি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ
লক্ষ্মীপুর জেলা

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

নন্দীগ্রাম

নন্দীগ্রাম লক্ষীপুর

ভাই ভাই জেনারেল হাসপাতাল

রামনগর লক্ষীপুর

কালিবাজার লক্ষীপুর

লক্ষীপুর

জকসিন বাজার লক্ষীপুর

লক্ষীপুর

বশিকপুর মসজিদ লক্ষীপুর

লক্ষীপুর

হাসন্দি লক্ষীপুর

লক্ষীপুর

নন্দীগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টিম

লক্ষীপুর

কালিকাপুর লক্ষীপুর

লক্ষীপুর

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০১৪

৭নং বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৭নং বশিকপুর ইউনিয়ন
পরিষদ
বশিকপুর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর জেলার সদর
উপজেলাধীন অর্থাৎ লক্ষ্মীপুরের
উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর সদর
উপজেলার এই উত্তরাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের
চারণ ভূমি হিসেবে ও বেশ
পরিচিতি রয়েছে। এই
ইউিনয়নটি একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন
যার আয়তন ১৪ বর্গ কিলোমিটার এবং এই
ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৪৭০০০
হাজার, এই ইউনিয়নে রয়েছে ১০৮
কি.মি. রাস্তা যার অধিকাংশই পাকা।
বশিকপুর ইউনিয়নে ১৯ টি গ্রাম
এবং এটি ৯ ওয়ার্ডে বিভক্ত।বাড়ীর
সংথ্যা ৫৭১ ও খানার সংখ্যা ৬৮৮৬।
ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রামের মধ্যে বশিকপুর
গ্রামটি অন্য সব গ্রামের চাইতে বড়
বিধায় এর নামকরন করা হয়েছে বশিকপুর
ইউনিয়ন।ধারনা করা হচেছ ১৪২০
সালে এই চরন ভূমিটির জন্ম এবং মানুষ
চলাচল ও বসবাসের
উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠা।

7 no boshikpur union Lakshmipur Bangladesh

Logo আমাদের নন্দীগ্রাম amadar lakshmipur

lakshmipur, Bangladesh. নন্দীগ্রাম দিঘী